শহরের ধূসর রুক্ষতা ছেড়ে,
দিয়েছিলেম পাড়ি একদিন-
সবুজ বনানীর ওই গ্রামটির মাঝে,
সকালে সন্ধ্যায় প্রতিদিন যেথা
কীর্তন গান আর আজানের সুর
আজও একই সাথে বাজে।
আঁকাবাঁকা চলে ছোটো নদীখানি
সুমধুর এক কূলকুল সুরে,
নিকানো উঠানে ধানের মরাই
আলপনা আঁকা মাটির কুটীরে।
সকালের রোদ গায়ে মেখে নেয়
ঘোমটায় মোড়া বধূটির বাস,
ছেলেটি তাহার খেলে অঙ্গনে
সারাগায়ে মেখে মাটি একরাশ।
গাঁয়ের রাখাল ধূলিমাখা পথে
ধেনুদের সাথে যায়-
বাঁশের বাঁশিতে আনমনা করা
মাঠুরিয়া সুর গায়।
সবুজ আভায় চারদিক রাঙা-
ধানের শিষে মৃদু হাওয়া দোলে,
পাখীর কূজনে মাতোয়ারা মন
শান্ত হৃদয় হতাশার তান ভোলে।
মনের আশীষে মৃদু সমীরণ
যেন গুনগুন সুরে গায়,
মধূপ সকল ফুল থেকে ফুলে
পরাগের সাথে পরাগ মিলায়।
সারাটি দিবস ধূলিমাখা পথে
দেখিলেম কতো জীবনের পালাগান,
অস্তের রবি লালিমা কাজলে
রাঙিয়ে নিলেম এই তৃষিত পরান।
সবুজ বাতাসে বুক ভরে নিয়ে
নীড়ে আসা পাখীদের দল-
কহিল সুজন, ঘরে ফের এইবেলা,
মনের গভীরে আশা অফুরান
ফিরিব আবার গ্রামটির বুকে
মিটাতে সকল দগ্ধ জীবনজ্বালা।